অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় কভার্ড ভ্যান আটকে চালককে মারধর এবং টাকা ছিনতাই করে পালানোর সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
তারা হলেন- থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ফজলে নাভীদ অনন, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সাদিক আহাম্মদ এবং ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. রাহাত রহমান।
তিনজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী, তারা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান সাময়িক বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন, অসদাচরণ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজন শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে এই শিক্ষার্থীদের। সেজন্য সময় দেওয়া হয়েছে সাত দিন।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন বুয়েট মসজিদের সামনে রাত ৩টার দিকে ছিনতাইয়ের এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ উঠেছে, কভার্ড ভ্যান আটকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন ওই তিন শিক্ষার্থী। সেই টাকা না পেয়ে চালকের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন তারা।
চালকের চিৎকারে শাহবাগ থানার একটি টহল টিম এগিয়ে এলে ওই তিন শিক্ষার্থী দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে ধরে ফেলে। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
অনন ও সাদিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তরের হলের ছাত্রলীগের কর্মী। রাহাত হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থী।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মারধর, হলে সিট নিয়ে সংঘর্ষসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ চার বিশ্ববিদ্যালয় ও এক কলেজের ২১ জন নেতা-কর্মীকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তাদের মধ্যে এই তিনজনের নামও রয়েছে।
Leave a Reply